নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত দেয়া হয়েছে। এতে নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও এক হাজারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সিটি করপোরেশনের আইন বিষয়ক কর্মকর্তা জিএম এ সাত্তার বাদী হয়ে ওই অভিযোগটি দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আইভীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্যই গত ১৬ জানুয়ারি লাঠিসোটা, অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের দায়িত্বরত ওসি আবদুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখনো মামলা রেকর্ড করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এতে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।সংঘর্ষকালে অস্ত্র হাতে ছবি প্রকাশ পাওয়া নিয়াজুল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিয়াজসহ নয় জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি সংঘর্ষ হয় মেয়র আইভী ও সাংসদ শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এতে সিটি মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। সেদিন মানবঢাল তৈরি করে আইভীকে রক্ষা করেন তার কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় আইভীর গায়ে ঢিল লাগে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে আইভী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এই ঘটনার জন্য শামীম ওসমান সরাসরি দায়ী।
ঘটনার দুইদিন পর গত ১৮ জানুয়ারি বিকালে মেয়র আইভী সিটি ভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এনে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ড. বরেণ চক্রবর্তী, আবদুজ জাহেদসহ পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
দুই দিন পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২০ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় বলে জানান অধ্যাপক ড. বরেণ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র আইভী হাসপাতাল থেকে রিলিজ পাবেন বলে জানা গেছে। এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি।
